খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

খুলনায় আমের কেজি ১৮০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের মূল্য বাড়ার সাথে আমের বাজারের সম্পর্ক নেই। তবুও ফলের বাজার উর্দ্ধমুখী। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় আম বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা দরে। এ জাতের আমের নাম বারী-৪। রাজশাহীর মাটিতে এর উৎপাদন।

খুলনা নগরীর আম বাজারের স্থায়িত্বকাল বৈশাখ-শ্রাবণ। এ চার মাসে কদমতলা পাইকারী আড়ৎ এ ২ শ’ কোটি টাকার আম বিকিকিনি হয়। আমের মধ্যে ছিল বৈশাখী, ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপালভোগ, খিরসাপাতি, আম্রপালি, ফজলি, লতা, আশ্বিনা ইত্যাদি। সর্বশেষ বাজারে এসেছে বারী-৪ নামের আম। রাজশাহী থেকে এ আম আসতে শুরু করে শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে। বৃহস্পতিবার এক ট্রাক আম এসেছে কদমতলার পাইকারী বাজারে।

বৈশাখ থেকে রূপসা ঘাট, জেলখানা ঘাট, ময়লাপোতা মোড়, ডাকবাংলা, নিউ মার্কেট, বয়রা বাজার, চিত্রালী বাজার, দৌলতপুর বাজার, ফুলবাড়ি গেট ইত্যাদি মোড়ে নানা জাতের আম বিক্রি হয় মৌসুম জুড়ে। আমে অপদ্রব্য আছে কিনা তার জন্য বিএসটিআই কয়েক দফা নমুনা সংগ্রহ করেছে। বাজারের এ মৌসুমের আম মোটামুটি নিরাপদ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কদমতলা এলাকার ভাই ভাই বাণিজ্য ভান্ডারের বিক্রেতা সুলতান আহম্মেদ সাগর জানান, বারী আমের দাম বেশি থাকায় ক্রেতার আগ্রহ কম। তাছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা আমের বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

আশ্বিনা জাতের আম পনের দিন আগে প্রতি মণ ১৭ শ’ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকালের দাম ছিল ২২ শ’ টাকা। বারী-৪ এর বেশ চাহিদা কমেছে।

থানার মোড়ের ফেরিওয়ালা মোঃ বাবুল জানান, বৃহস্পতিবার দুই মণ আম পাইকারী বাজার থেকে কিনলেও দু’দিনে মাত্র এক মণ বিক্রি হয়েছে।

অপর ফেরিওয়ালা শাহাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিকেজির মূল্য ১৮০ টাকা হওয়ায় ক্রেতার চাহিদা কম। তিন বছর আগ থেকে এ জাতের আম বাজারে এসেছে তখন এত দাম ছিল না। ডাকবাংলা মোড়ের অপর বিক্রেতা জানান ডিজেলের মূল্য বাড়ার পর থেকে ফলের বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!