বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য দ্বিতীয়বারের মতো সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৯০৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৮৪২ টাকা করা হয়েছে। যা ১ জুন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে মিলছে ভিন্ন চিত্র।
নগরীর সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী, বয়রা, ময়লাপোতা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ১২ কেজির বসুন্ধরা এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকা, ওমেরা, লাফস, ক্লিনহিট এলপিজি সিলিন্ডার ৯০০ থেকে ৯২০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা কাশেম ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আবুল কাশেম বলেন, “আজকে সকালেও মাল নিছি আগের রেটে। এখনো নতুন দামের মাল হাতে পাইনি, পেলে অবশ্যই কম দামে সেল করবো।”
গল্লামারী ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারীর কাছে এলপিজির দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গ্যাসের দাম কমেছে জানতে পেরেছি। তবে এই সিলিন্ডার আমরা এখনো কিনতে পারিনি। কম দামে কিনতে পারলে কম দামে বেঁচতে তো আমাদের কোনো সমস্যা নাই।”
হাজী তমিজ উদ্দিন সড়কের বাসিন্দা ইমরান হোসেন কিম বলেন, গত কয়েক মাসে গ্যাসের দাম নিম্নমুখী, এটা আমাদের মতো সাধারণ জণগনের জন্য সুসংবাদ। তবে আমরা সেই সঠিক দামে বাজার থেকে গ্যাস কিনতে পারছি কিনা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি করার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে সাধারণ জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) বা সৌদি সিপি নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি। গত চার মাস ধরে বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম কমছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি