অনাবৃষ্টির কারণে এ মৌসুমের লিচুর বৃদ্ধি হয়নি। কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতি এড়াতে মধু মাসের আগেই বাজারে এসেছে লিচু। আমদানি কম। দাম বেশি। বেজায় টক। এর প্রতি ক্রেতার আগ্রহ নেই। ফল ব্যবসায়ীরা রুটিন মানতে লিচু মজুদ করছে। পাইকারি আড়ত থেকে লিচু খুলনার ফুটপাতে।
মধু মাসের এখনও ১০ দিন বাকি। রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের লিচু আসবে ১৫ দিন পর। তখন লিচুর মৌ মৌ গন্ধে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করবে। সেই প্রস্তুতি চলছে।
সাতক্ষীরা, ডুমুরিয়ার শাহপুর, নওয়াপাড়া, বারোবাজার, যশোরের খয়েরতলা থেকে লিচু আসছে। এর কোনো নাম নেই। টানা আট মাস অনাবৃষ্টির কারণে লিচুর পরিপক্কতা আসেনি। সে কারনেই টক বেশি।
মোঃ ওয়াদুদ শেখ আজকেই প্রথম ভ্যানযোগে লিচু নিয়ে বের হয়েছেন বিক্রির উদ্দেশ্যে। কালেক্টরেট ভবনের সামনে আজ (৩ মে) সকাল থেকে দুপুর অবধি বিক্রি করেছেন দুইশো টাকার লিচু। টক লিচুতে ক্রেতার আগ্রহ কম।
কদমতলার আড়তদার সৈয়দ জুলজালাল ও সৈয়দ জসিম জানান, আজ আট ঝুড়ি লিচু এসেছে, যশোরের বসুন্দিয়া থেকে। প্রতি শ‘ লিচুর মূল্য ১২০ টাকা । তাও খুচরা দোকানদাররা নিতে চাচ্ছে না।
লকডাউন ও ঈদের কারণে চাষীরা আগে ভাগেই হাটে বাজারে লিচু আনতে শুরু করেছে। ঈদের কেনা কাটার জন্য কৃষকের হাতে নগদ অর্থ নেই, সে কারনেই আগে ভাগে ফসল হাটে তুলছে। মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ রসালে লাল টকটকে লিচুর পসরা বসবে নগরীর মোড়ে মোড়ে।
খুলনা গেজেট/ এস আই