এবারের একুশে-তে খুলনায় বিশেষ আয়োজন, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বাংলা বর্ণমালা দিয়ে সাজানো হবে। এছাড়া আকর্ষণীয় বিষয় থাকছে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত একুশের কর্মসূচিতে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রোববার মহান একুশে।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচিতে রয়েছে সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে সরকারি-বেসরকারি ভবন ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত। হাদিস পার্কের শহীদ মিনারে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে পারবে। মাস্ক ছাড়া শহীদ মিনারে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সকাল ১০টায় কেসিসি-তে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বাদ যোহর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিল, সুবিধামত সময়ে মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপসানালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রার্থনা, বিকেল ৩টায় হাদিস পার্কের শহীদ মিনারে শিশু শিল্পীদের কণ্ঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গান পরিবেশনা, বিকেল ৪টায় বিভাগীয় গণ-গ্রন্থাগারে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা, সুবিধামত সময়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুবিধামত সময়ে স্ব-রোচিত ছড়া, কবিতা ও গানের আয়োজনসহ একুশে সংক্রান্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
কেএমপি’র সূত্র জানিয়েছে, একুশের অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে তিনস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাদিস পার্ক, দৌলতপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সরকারি বিএল কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগরীতে পাঁচশ’ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
খুলনা গেজেট/এনএম