খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

খুবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব এ পুষ্পমাল্য অর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ১০ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব এ উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের পক্ষে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধানসহ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় ওয়েবিনারে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসপেজে উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকাল ১১.৩০মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাশিপের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিরআরধ্য দুটি স্বপ্নের মধ্যে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ তিনি উপহার দিয়ে গেছেন, কিন্তু পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট ঘাতকের হাতে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ায় সোনার বাংলা তিনি গড়ে যেতে পারেননি। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবে হত্যা করতে পারলেও তাঁর আদর্শকে মুছে দিতে পারেনি। আজ বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই সত্যি, কিন্তু তাঁর আদর্শ বেঁচে আছে। এই আদর্শকে ধারণ করে দেশকে তাঁর স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার মধ্যেই তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আরও চর্চা করতে হবে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে তিনি বলেন একাত্তর সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যদি দেশে ফিরে না আসতেন তা হলে দেশের পরিস্থিতি কি হতো তা নিয়ে নানা সংশয় ছিলো। কারণ, হাজার হাজার মানুষের কাছে তখনও অস্ত্র ছিলো। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব ছিলো না।

বিশেষ অতিথি হিসেব ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ঘোষণার পর তাঁকে পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেফতার হওয়া, পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন কারাগারে রাখা থেকে একাত্তরের দশই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।

স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন পরিষদের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান। তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালীন থেকে দশই জানুয়ারির প্রেক্ষাপট ও তথ্য সম্বলিত নানান ঘটনা বিবৃত করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুকে আমরা নানাজনে নানান স্বার্থে ব্যবহার করছি, কিন্তু আসলে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুকে চর্চা করা ও তাঁর আদর্শকে মনেপ্রাণে ধারণ করা। এসময় স্বাশিপের সদস্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র:প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

খুলনা গেজেট/এ হোসেন

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!