খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই
  নাটোরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে এক ট্রাক ড্রাইভার নিহত

খুবিতে গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘরের উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক হানাদার বাহিনীর টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহৃত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত টিনশেড ঘরটিকে ‘গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে সংরক্ষণ, সংস্কার ও ল্যান্ডস্কেপিং উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ ৫ জুন (রবিবার) বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের ফিতা কেটে ও ফলকে কর্ণিক দিয়ে সিমেন্ট-বালি মিশ্রণ লাগিয়ে এই কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), বিভাগীয় প্রধান, শাখা প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই আমাদের সবক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইউজিসি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বিকাশ এবং মানোন্নয়নের পাশাপাশি দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, নিদর্শন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদান রাখতেও কাজ করছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত একাত্তরের টর্চারসেলটি গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর করে তার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন এটা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এই স্থানটি সম্পর্কে একটি পরিচিতিমূলক নামফলক স্থাপনের পরামর্শ দেন, যাতে এখানে আগত দর্শনার্থীরা এ নির্দশনের গুরুত্ব সহজে বুঝতে পারেন।

এসময় আরও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, এই টর্চারসেল মুক্তিযুদ্ধের সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এটা সংরক্ষণে অনেকদিন ধরে আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। বিলম্বে হলেও এটা সংরক্ষণ, সংস্কার ও ল্যান্ডস্কেপিং উন্নয়ন কাজ শুরু হলো। তিনি এ কাজে আর্থিক সহায়তার জন্য ইউজিসিকে এবং বিশেষ করে সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

সূচনা বক্তব্যে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ এই নিদর্শন সংরক্ষণে অতীতে কথা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনসহ সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ এবং খুলনার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে স্থানটি পরিদর্শন করে তাঁর পরিকল্পনার কথা জানান। তাদের পরামর্শ নিয়ে তিনি স্থানটি সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইউজিসি এমন একটি মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসায় তিনি ধন্যবাদ জানান।

 

 

খুলনা গেজেট/ আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!