খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫
  গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২

খালিশপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার খালিশপুর শিশু পার্কের পাশ থেকে চান্দা বেগম ওরফে লাবনী বিশ্বাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে মৃতের বড় ছেলে মো: রাব্বি ৩ জন আসামির নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে লাশের ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে চান্দার লাশ দাফন করা হয়েছে।

এ মামলার আসামিরা হলেন, খালিশপুর শিশুপার্ক এলাকার এন্থনি বিশ্বাসের ছেলে চালর্স বিশ্বাস ও আলফ্রেড বিশ্বাস। অপর আসামি হলো একই এলাকার সৈয়দ আলী খানের ছেলে একেএম মঈনুল ইসলাম।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমার মা একজন মুসলিম নারী ছিলেন। এটা জানা সত্বেও চালর্স বিশ্বাস ১৯ বছর আগে মা চান্দাকে বিয়ে করে। মায়ের দ্বিতীয় ঘরে দু’টি সন্তান রয়েছে। চান্দা ইসলাম ধর্ম পালন করতে গেলে চালর্স বিশ্বাস ও অলফেড বিশ্বাস তাকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। তাকে সবসময় মরে যাওয়ার জন্য বলত। তাকে প্রায়ই বলা হতো এত লোক মরে তুই কেন মরিস না।

এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা হয়। কিছুদিন অত্যাচারের মাত্রা কমে গেলেও পরবর্তীতে আবারও শুরু হয়। এতদিন চান্দা নিজের আত্মসম্মান ও সন্তানদের কথা বিবেচনা করে নিরবে নির্যাতন সহ্য করে এসেছেন। কিন্তু পরে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। প্রায় চান্দা তাকে ফোন দিয়ে বলত ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় লোক মারফত তিনি জানতে পারেন গলায় ফাঁস দিয়ে তার মা আত্মহত্যা করেছেন।

সংবাদ শুনে আমি আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে চালস বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখি মা গলায় ওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে রয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উল্লিখিত আসামিরা তার মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী।

এদিকে খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাতে মৃতের সন্তানের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে লাশ উদ্ধারের সময় আসামি চালর্স বিশ্বাস ও আলফ্রেড বিশ্বাসকে আটক করে থানয় নিয়ে আসা হয়। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর আসামি মঈনুল ইসলাম সোমাকে খুজে পাওয়া যায়নি। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!