কোরবানিতে গরু ও মহিষের মাংস নিরাপদ নিশ্চিত করতে স্টরায়েড জাতীয় গ্রুপের ইনজেকশন ও ট্যাবলেট বিক্রি বন্ধে খুলনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। বিভাগের দশ জেলায় ইতিমধ্যেই মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম শুরু করেছে। কোরবানির হাটেও কোর্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েছে।
ঝিনাইদহ থেকে স্মরণখোলা পর্যন্ত পশু খাদ্য বিক্রির দোকান, মেডিকেল স্টোর ও খামারগুলোতে মে মাস থেকে নজরদারি শুরু হয়েছে। গরু ও মহিষের মোটা-তাজাকরণের ক্ষেত্রে অসাধু উপায় অবলম্বরের সকল পথ রূদ্ধ করা হয়েছে। স্টরায়েড জাতীয় গ্রুপের ওষুধ সেবনের ফলে গবাদী পশু দ্রুত মোটা হয়। এতে গবাদী পশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দেয়। নিয়মিত ওষুধ সেবনের ফলে পশু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষেত্র বিশেষ মারাও যায়। অপদ্রব্য খাওয়ানোর ফলে পশুর শরীর থেকে মাংসে নানা রকম জীবানুর সৃষ্টি হয়। মানবদেহে প্রবেশ করে লিভার নষ্ট ও ক্যান্সার রোগ দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ শারীরীকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সূত্র বলেছেন, অপদ্রব্য না খাওয়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর, এনজিও ও পৌরসভার পক্ষ থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অজপাড়াগায়ের খামারিরা এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে এখনও জ্ঞাত নয়। সংশ্লিস্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ ওষুধ বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছেন। উপজেলা পর্যায়ের দপ্তর থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর, খুলনার ভেটেরেনারী পাবলিক হেলথ’র উপ-পরিচালক ডা. এবিএম জাকির হোসেনের অভিমত, খামারিরা নির্দেশনা মেনে চলছে। তিনি আশাবাদি- এবারের কোরবানিতে দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদ মাংস নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ক্ষতিকর এ ওষুধের ব্যবহার বন্ধে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট কাজ করছে। খামারিরা চিকিৎসকর পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ বিক্রি করছে না। তিনি খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন, ক্ষতিকর উল্লিখিত ওষুধ নিময়িত সেবন করালে গরু বা মহিষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিভাগের দশ জেলায় এবারের কোরবানির জন্য খামারিরা ৮ লাখ ৭৯ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ