খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

কেশবপুরে ৯৮ মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজার শেষ প্রস্তুতি

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুর উপজেলায় ৯৮ মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এক সপ্তাহ বাদেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুরু হবে। কেশবপুর উপজেলায় ১১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় এ বছর ৯৮ টি পূজা মন্ডপে চলবে দূর্গাবন্ধনা ও দূর্গা উৎসব। ইতোমধ্যে মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে। এখন চলছে রং তুলির কাজ। ভাস্কররা এখন রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।

কেশবপুর উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে পূজা মন্ডপে রং তুলি শিল্পীরা তাদের কাজ শেষ করতে খুব ব্যস্ত। কেশবপুর পৌর শহরে ও উপজেলায় এবছর ৯৮ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

এরমধ্যে কেশবপুর পৌরসভা ৮ টি, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ১টি, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১৩টি, মজিতপুর ইউনিয়নে ৭টি, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৬টি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৪টি, কেশবপুর সদর ইউনিয়নে ৭টি, পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৯টি, সুফলা কাটি ইউনিয়নে ১১টি, গৌরীঘোনা ইউনিয়নে ১১টি, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১১টি ও নবগঠিত হাসানপুর ইউনিয়নে ১০টি মন্ডপে দূর্গাউৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

সুখ ও মঙ্গল কামনায় দূর্গা মায়ের আগমন ঘটবে এবছর। কেশবপুর উপজেলায় ৯৮টি মন্ডপে সরকারি অনুদান হিসাবে ৪৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল জানিয়েছেন পৌর সভার প্রতিটা মন্দিরে অনুদান হিসাবে নগদ অর্থ দেওয়া হবে।

কেশবপুর উপজেলার ভালুকঘর রথখোলা সার্বজনীন পুজা মন্দিরের সভাপতি অসিম কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন গত দু’বছর করোনা মহামারির কারণে দূর্গাউৎসব না হওয়ায় এবছর খুব জাকজমক ভাবে দূর্গা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

কেশবপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালি মন্দির কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা বলেন সরকারি অনুদান হিসাবে যে ৪৮ মেট্রিকটন চাল পাওয়া গেছে তা কেশবপুর হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্যামল সরকার বিতরণ করবেন।

কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলার সকল মন্ডপে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আনসার ও গ্রাম পুলিশের সাথে একাধিক থানা পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করব।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!