খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়লো ঘর, চার দিনমজুর সর্বশান্ত

গে‌জেট ডেস্ক

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আগুনে আপন চার ভাইয়ের ঘর পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের চর এতমামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- চর এতমামপুর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ময়েন আলী খাঁ (৪০), চয়েন আলী খাঁ (৩৫), জয়নাল আলী খাঁ (৩২) ও বাবু আলী খাঁ (৩০)। তারা পেশায় জেলে ও দিনমজুর।

এদিকে আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।

প্রতিবেশীরা জানায়, ময়েন আলীর খাঁর স্ত্রী রেখা খাতুন মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে চুলায় রান্না করছিল। এ সময় তিনি হলুদ আনতে ঘরে যান। কয়েক মিনিটের মধ্যে চুলার কাছে ফিরে এসে দেখেন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এ সময় আগুন আগুন বলে তিনি চিৎকার শুরু করেন।

রেখার চিৎকারে প্রথমে বাড়ির লোকজন এবং পরে আশপাশের অর্ধশতাধিক প্রতিবেশী ছুটে আসেন। তাদের প্রায় চল্লিশ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে চার ভাইয়ের বসবাসের ঘর ও সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ময়েন আলী খাঁর স্ত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী রেখা খাতুন বলেন, গরিব মানুষ আমরা। সকাল-সকাল রান্না করে একটি কারখানায় কাজে যায়। প্রতিদিনের মতো আজও সকালে রান্না করছিলাম। তরকারি রান্নার জন্য ঘরে হলুদ আনতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি আগুন জ্বলছে।

প্রতিবেশী আদম আলী মৃধা বলেন, চেঁচামেচি শুনে ছুটে এসে আগুন দেখতে পাই। সবাই মিলে পানি ছিটিয়ে ও কলাগাছ ফেলে প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরেক প্রতিবেশী স্বপন আলী বলেন, অল্প জায়গায় চার ভাইয়ের বসবাস। এলাকার সবচেয়ে গরিব মানুষ তারা। পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি ও বে-সরকারি সহযোগিতা দরকার।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জয়নাল আলী খাঁ বলেন, আমরা চার ভাই কখনও মাছ ধরে বিক্রি করি আবার কখনও অন্যের কাছ থেকে মাছ কিনে বিক্রি করি। আবার কখনও অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আগুনের আমাদের সব কেড়ে নিয়েছে। আমরা পথে বসে গেছি। এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অন্যান্য সহযোগিতা প্রাপ্তির জন্য লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!