খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

কালিগঞ্জে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের  বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায়  জনতা ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক শেখ শামিম হাসান ও সিনিয়র অফিসার জাহিদ হাসান এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণের অভিযোগ উঠেছে। এই দুই কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত গ্রাহকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করে গেলেও অজ্ঞাত কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের নিদিষ্ট সেবা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ব্যাংকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায় তাদের। ফলে সীমাহিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের মিয়ারাজ হোসেন জানান, কিছুদিন আগে আমি জনতা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়েছিলাম। কিভাবে খুলতে হয় বা নিয়ম কানুন কী তা ভালো বুঝি না। সেজন্য আমার এক বড় ভাই কাজী আল মামুনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাংকের ম্যানেজার শামিম ও অফিসার জাহিদ আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
ভাড়াশিমলা এলাকার  শাহিন হোসেন জানান, জনতা ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখায়  একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়েছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্যি একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে দুই দিন সময় লেগেছে। ম্যানেজার শামিম ও সিনিয়র অফিসার জাহিদের ব্যবহার প্রচন্ড খারাপ। সিনিয়র অফিসার জাহিদ সবার সামনে দম্ভ করে বলেন সরকারি ব্যাংকে এর চেয়ে বেশি সেবা দিতে পারবো না। বেশি সেবা নিতে হলে বেসরকারি ব্যাংকে যান।
ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান,  প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জনতা ব্যাংকে গিয়ে ওদের ব্যবহার দেখে ফিরে এসেছি। গ্রাহককে ওরা মানুষ ভাবে না। এত পরিমাণ খারাপ আচরণ করে যেটি না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ম্যানেজার শামিম আমাদের এক সিনিয়র স্যারের সুপারিশে ম্যানেজার হয়েছেন। যার কারণে সে কাউকে তোয়াক্কা করেন না। ম্যানেজারের সাথে মিশে সিনিয়র অফিসার জাহিদও গ্রাহকের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
গ্রাহকদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে ম্যানেজার শামিম ও সিনিয়র অফিসার জাহিদ এর সঙ্গে  যোগাযোগ করা হলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী গ্রাহকরা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!