খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে প্রাণ গেল ১ জনের
  দাবদহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৫ দিন, খুলবে ২৮ এপ্রিল

করতোয়া নদী উন্মুক্তের দাবিতে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

জীবননগর প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার করতোয়া নদী থেকে বাঁধ তুলে নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্তকরণ এবং বাকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও তার অনুসারীদের নিকট থেকে দখল মুক্তকরণের দাবিতে পাথিলা গ্রামের ১১৫জন সদস্য জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলামের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার সকাল ১০টার সময় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গ্রামবাসী উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এই নদীতে এলাকার সাধারণ মানুষ গোসল করা, মাছ ধরা, কৃষি কাজে ব্যবহার করা থেকে শুরু করে নানা কাজে ব্যবহার করেন । সেই নদীতে বাকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। মাছ চাষের ফলে ওই নদীতে কাউকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না । তবে রবিউল ইসলাম মেম্বার সরকারি ভাবে ইজারা নেওয়ার দাবি করলেও করতোয়া নদী ইজারা দেওয়া হয়নি বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

পাথিলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান,করতোয়া নদী সব সময় উন্মুক্ত ছিল সেখানে সবাই গোসল করত,গরুর গা ধোয়াতো,পাট জাগ দেওয়া হত এবং কৃষি কাজের জন্য ব্যবহার করা হত । কিন্তু করতোয়া নদী খনন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই গঙ্গাদাশপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের বাড়ির নিচ থেকে পাথিলা গ্রামের ব্রীজ পর্যন্ত রবিউল ইসলাম মেম্বার জোর র্পূবক দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করছেন। নদীতে বাঁধ না দেওয়ার জন্য রবিউল ইসলাম মেম্বারকে একাধীকবার অনুরোধ করা হয়েছে।তারপরও তিনি তার দলবল এনে জোর পূর্বক নদী দখল করে মাছ চাষ করছেন।

বাকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই নদীটা তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে ইজারা নিয়েছেন। এ বছরও তিনি খাজনা দিয়েছেন বলে জানান।

জীবননগর উপজেলা সমবায় অফিসার নুর আলম জানান,পাথিলা গ্রামে একটি সমবায় সমিতি আছে যেটি রবিউল ইসলাম মেম্বার পরিচালনা করেন । তবে নদী ইজারা নেওয়ার বিষয় আমি কিছু জানি না। জলমহল কমিটি আছে। সেখান থেকে দিয়ে থাকেন ।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফল ইসলাম বলেন,পাথিলা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এটা তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া সরকারি কোন নদী কাউকে ইজারা দেওয়া হয় না ।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!