খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে
  চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিট স্ট্রোকে ২ জনের মৃত্যু
  দাবদহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৫ দিন, খুলবে ২৮ এপ্রিল

কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা হ্রাস এবং অন্যান্য নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা সংক্রান্ত সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা হ্রাস এবং অন্যান্য নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা শনিবার (১০ জুন) সকালে তালা উত্তরণ আইডিআরটিতে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরণ ও পানি কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুহফুল্লাহ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশীদা পারভীন পাঁপড়ী, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লাল্টু, খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাবীর হোসেন, নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু, সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার ইমান আলী, অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, পানি কমিটি নেতা অধ্যাপক হাসেম আলী ফকির, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার, অধ্যাপক রেজাউল করিম, তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, আশরাফুন নাহার, কল্পনা সরকার, সুনন্দা ভদ্র, জিএম শহিদুল্লাহ, সাংবাদিক গাজী জাহিদুর রহমান, উত্তরণ কর্মকর্তা দিলীপ সানা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের নদীই এখানকার জীবন। নদীর উপর বিশেষ করে জোয়ার-ভাটার ব্যবধানকে ব্যবহার করে এখানকার সভ্যতা গড়ে উঠেছে। তাই নদী না থাকলে এখানকার সভ্যতা টিকে থাকবে না। এমতাবস্থায় পরিকল্পিতভাবে জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে প্লাবনভূমিতে পলি অবক্ষেপনের ব্যবস্থা করার কোন বিকল্প নেই। যার মাধ্যমে নদীর নাব্যতা যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি ভূমি গঠনপ্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তাই দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এই ভঙ্গুর প্রতিবেশকে রক্ষা করার জন্য পরিকল্পনাবিদ, নীতি নির্ধারক ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সকলকে খুবই সাবধানতার সাথে, এ অঞ্চলের জনগণকে সাথে নিয়ে গত শতাব্দীর ষাটের দশকে উপকূলীয় বাঁধের কারণে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে, তা দূর করার উদ্যোগী হওয়ার মাধ্যমে এ অঞ্চলকে রক্ষা করতে হবে।

আলোচনা সভায় দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মৃতপ্রায় নদীসমূহের বর্তমান পরিস্থিতি এবং কপোতাক্ষ নদের পাখিমারা বিলের কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, দ্রুত টিআরএম চালুসহ পেরিফেরিয়াল বাধ সংস্কার, বেতনা খনন প্রকল্পে টিআরএম সংযুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন ও স্থানীয় নদ-নদীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!