খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সম্পাদককে দল থেকে অব্যাহতি
  আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি; গেজেট শিগগিরই

কচুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৭

কচুয়া প্রতিনিধি

কচুয়ায় সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের চৌরাস্তা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে রাবেয়া এবং হালিমাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মোয়াজ্জেম হোসেন সাইদকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন চন্দ্রপাড়া গ্রামের শেখ আব্দুল হাশেমের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সাইদ (৪০), সাইদের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক কচুয়া উপজেলার গিমটাকাঠি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ নয়ন (৩০), চন্দ্রপাড়া গ্রামের হামিদ শিকদারের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫৫), স্থানীয় হালিমা বেগম (৫৮), আব্দুল আজিজের ছেলে আকবর শেখ, মিন্টু শেখ এবং হেনা বেগম (৩০)। এদের মধ্যে রাবেয়া এবং হালিমাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন সাইদের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত মোয়াজ্জেম হোসেন সাইদ বলেন, কচুয়া উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশী আকবর শেখ ফোন করে বলে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলবে দ্রুত আসেন। আমি কচুয়া থানা পুলিশকে ফোন করে চৌরাস্তায় গেলে সেখানে থাকা শোয়েবের ইন্ধনেই রব, কবির, মাসুম, মতলেব, সিদ্দিকসহ কয়েকজন আমাকে লাঠি ও দাও নিয়ে ধাওয়া করে পিটায় এবং মাথায় কোপ মারে। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার গাড়ি চালক নয়ন, স্থানীয় রাবেয়া বেগম ও হালিমা বেগমকেও মারধর করে হামলাকারীরা। আমাকে যখন মারধর করে তখন শেখ শোয়াইব ইসলাম শোয়েব দাড়ানো ছিল এবং শোয়েবের ইন্ধনেই তারা আমার উপর হামলা করেছে।’

আহত হালিমা বেগম বলেন, ‘মোয়াজ্জেম হোসেন সাইদকে মারধর করার সময় কেন মারছে জানতে চাইলে আমাকেও মারধর করে কবির, মাসুম, মতলেব ও সিদ্দিক। পরে চৌরাস্তায় আমার ছেলে মিন্টুর দোকান ভাংচুর করে এবং দোকানে থাকা মালামাল নিয়ে যায় কবিরসহ অন্যরা।’

হামলার ইন্ধনে অভিযুক্ত শেখ শোয়াইব ইসলাম শোয়েব বলেন, ‘হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি সকাল থেকেই আমার ও আমার ছেলের চুল কাটানোর জন্য গোয়ালমাঠ বালিকা বিদ্যালয় মোড়ে উজ্জলের সেলুনে ছিলাম।’

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সুপাড়ি পাড়া নিয়ে চন্দ্রপাড়া গ্রামের মামুন ও কবিরের বাড়ির নারীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।’

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!