খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকান লুট, ডাকাতের পিকআপ চাপায় নিহত ১

লক্ষ্মীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় আর কে শিল্পালয় নামে এক স্বর্ণের দোকানে ককটেল ফাটিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জুয়েলারি মালিক অপু কর্মকার, তার ছেলে অমিত কর্মকারকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুটপাট করে ডাকাতরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় ইটেরপোল এলাকায় ডাকাতের ব্যবহৃত পিকআপের চাপায় সফিউল্যাহ নামে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়। এ ঘটনায় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। ডাকাতদের হামলায় গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রাতে শহরের কলেজ রোড এলাকায় আর কে শিল্পালয়ে (জুয়েলারি দোকানে) অপু কর্মকার, তার ছেলে অমিত কর্মকার বসেছিলেন। এসময় একটি পিকআপ দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়।

এসময় ৭/৮ জনের একদল মুখোশপরা ডাকাত ককটেল ফাটিয়ে দোকানে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দোকানের মালিক অপু কর্মকার ও তার ছেলে অমিত কর্মকার বাধা দিতে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে দোকানের স্বর্ণালংকার নিয়ে ফিল্মিস্টাইলে ককটেল ফাটাতে ফাটাতে পিকআপে করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় জুয়েলারির মালিক অপু কর্মকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ডাকাতরা দ্রুতগতিতে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের ইটেরপোল এলাকায় রাস্তায় দাঁড়ানো পথচারীর ওপর পিকআপটি উঠিয়ে দেয়। এসময় সফিউল্যাহ নামে এক পথচারী ঘটনাস্থলে নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থায়ও আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ডাকাতরা ককটেল বিস্ফোরণ করে ফিল্মি স্টাইলে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জুয়েলারি দোকানের মালিক ও তার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় ব্যবসায়ীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি হরিহর দেবনাথ অভিযোগ করে বলেন, মুখোশপরা ৭/৮ জনের একদল ডাকাত বোমা ফাটাতে ফাটাতে জুয়েলারি দোকানে প্রবেশ করে। পরে দোকানের মালিক ও তার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের অবস্থায় আশংকাজনক। দোকানে থাকা সব স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। দ্রুত সময়ের জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা বলেন, ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত, সেটা চিহ্নিত করা হচ্ছে। ডাকাতদের ধরতে অভিযান চলছে।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!