ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ই-মেইল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর ব্যবহারের অভিযোগে জরিমানা হিসেবে ১৫ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও পর্যবেক্ষক সংস্থা ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) করা মামলায় সমঝোতার অংশ হিসেবে এ জরিমানা গুনবে সামাজিক মাধ্যমটি। পাশাপাশি টুইটারকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখেও পড়তে হচ্ছে। শাস্তির অংশ হিসেবে নিজস্ব ডাটা গোপনীয়তা প্রকল্পের কার্যকারিতা যাচাইয়ে এফটিসির পরীক্ষা-নিরীক্ষাও মেনে নিতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে।
পাশাপাশি নতুন আরোপিত শর্তে টুইটারকে গোপনীয়তা ও তথ্য নিরাপত্তা নীতিমালা রাখতে হবে। নীতিমালা কার্যকর করা হচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে। টুইটারের প্রধান গোপনীয়তা কর্মকর্তা ডেমিয়েন কিয়েরান এক ব্লগ পোস্টে এবং টুইট করে এফটিসি ও বিচার বিভাগের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে নিজস্ব নীতিমালার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্যের অপব্যবহার এবং এফটিসির আগের একটি মামলায় ২০১১ সালের সমঝোতার শর্তও লঙ্ঘন- এমন অভিযোগ নিয়ে তদন্তের মুখে পড়ে টুইটার। দুই ধাপের পরিচয় নিশ্চিতকরণ (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) ব্যবস্থার মতো নিরাপত্তামূলক ফিচার চালু করার জন্য ই-মেইল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দিতে ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করেছিল টুইটার। কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে ব্যবহারকারীর ওই ফোন নম্বর ও ই-মেইল বিজ্ঞাপন দেখানোর কাজে ব্যবহার করেছিল কোম্পানিটি। এ অভিযোগ স্বীকার করে ২০১৯ সালে ক্ষমা চেয়ে টুইটার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডাটা বিজ্ঞাপনী প্রক্রিয়ায় যোগ করেছিল। প্রায় একই অভিযোগে ২০১৯ সালে ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করেছিল এফটিসি।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ