খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
নিরাপত্তা নি‌য়ে শঙ্কায় প‌রিবার

এড. ফজলে হালিম লিটনের প্রাণনা‌শের চেষ্টায় কারা, কেনই বা হামলা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

অজানা আতংকে দিন পার করছে খালিশপুর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী ফজলে হালিম লিটনের পরিবার। খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের একটি কেবিনে শুয়ে কাটছে সন্ত্রাসী হামলায় আহত লিট‌নের দিন। কেউ তাকে দেখতে আসলে পরিচয় জানার পর খোলা হচ্ছে দরজা। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

আইনজীবী ফজলে হালিম লিটন বলেন, রোববার (৮ মে) বিকেলে আদালতের কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরে বাড়ির মেইন গেট ধাক্কা দিয়ে লিটনের নাম ধরে ডাকতে থাকে। বাইরে বের হলে দু’যুবক মামলা সংক্রান্ত কিছু কথা আছে বলে তাকে জানায়। কিছু সময় পর ওই দু’জন অসংলগ্ন কথা শুরু করে দেয়। এরপর তিনি তাদের কোর্টে দেখা করতে বলেন।

বাড়ির ভেতরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে দু’যুবক লিটনের ওপর হামলা করে। তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে আরও দু’জন রাম দা ও ছুরি নিয়ে তাকে আঘাত করতে এগিয়ে আসে। পলানোর চেষ্টাও করেন। এরমধ্যে একজন রাম দা দিয়ে লিটনের মাথা লক্ষ করে একটি কোপ দেয়। কিন্তু হাত দিয়ে তা ঠেকিয়ে দেন। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আহত অবস্থায় বাড়ির ভেতরে লুকানোর চেষ্টা করেন। তারাও পিছু নেয়। কিন্তু স্ত্রী আসমা হালিমের বুদ্ধিমত্তায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। চিৎকার করতে থাকেন তারা। প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

ধারলো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম হাতের দু’টি রগ কেটে গেছে। অস্ত্রপচার করতে সাড়ে ৪ ঘন্টা সময় লেগেছে। প্রথম দু’দিন আইসিইউতে ছি‌লেন। মঙ্গলবার সকালে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তিনি বলেন, যারা অক্রমণ করেছে তাদের তিনি চেনেন না ও কোনদিন তাদের দেখেননি।

লিটনের স্ত্রী আসমা হালিম বলেন, লিটনের সাথে কারও কোন শত্রুতা নেই। হামলাকারীদের কাউকে তিনি চেননে না। কেন তার প্রাণনাশের এ অপচেষ্টা। এ বর্বর হামলার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার। তাদের ওপর হামলা হতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ ক‌রেছেন। ত‌বে খালিশপুর থানা পুলিশ সবসময় তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে ব‌লে জানান।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন খান বলেন, লিটনের পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে খালিশপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ি থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সন্ত্রাসীদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!