উপকূলে পানি প্রতিবেশ সু-রক্ষা ও কার্যকরি ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করে উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটি। জোয়ার-ভাটার প্লাবনভূমি ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন ঘেষা পরিবেশ, জীববৈচিত্র ও পানি প্রতিবেশ রক্ষায় পাঁচ দফা দাবী তুলে ধরেন। এ সময় তারা তিন মাসের ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
বুধবার (২ জুন) সকালে কেসিসির মিলনায়তনের এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপকূলীয় পানি উন্নয়ন কমিটির চেয়ারপারসন ও কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, উপকূলীয় পানি উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক ও অ্যাওসেডের নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ, প্রফেসর দিলীপ দত্ত, এনজিও কর্মকর্তা রফিকুল হক খোকন, গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল দূর্যোগ প্রবণ এলাকা। স্থানীয় পরিবেশ, প্রতিবেশ ও সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে এই অঞ্চলে মানুষের জীবন ও জীবিকা। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণ এবং মনুষ্য সৃষ্ট সংকটের ফলে এ এলাকার সংবেদনশীল প্রতিবেশ আজ বিপর্যয়ের মুখে। সংস্কারের প্রয়োজন আছে এমন সব বাধের সংস্কার শুরু করা। সংস্কারের পূর্ব পর্যন্ত বিপদাপন্ন পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা সহ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সকল চাহিদা পূরনের ব্যবস্থা করা। ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে বিবেচনায় নেয়া। উপকূলীয় এলাকায় দূর্যোগ সহনীয় পুকুরসহ খাসজমিতে ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করা। সমন্বিত উপকূলীয় এলাকা ব্যবস্থাপনা পলিসি জমি ব্যবহার নীতি-আইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন।
সংবাদ সম্মেলনে তিন মাসের ধারাবাহিক কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়েব সাইটের উদ্ধোধন, ১৫ জুন থেকে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে উপকূলীয় পানি সম্মেলনের থিম অনুযায়ী ‘ধারণা পত্র’ গ্রহন, পানি সম্মেলনের ১৯ জেলা কমিটি ‘ পানি প্রতিবেশ সু-রক্ষায় ’ স্ব স্ব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আগামি ১৫ জুনের মধ্যে স্বারকলিপি প্রদান, ১৫ জুন উপকূলীয় ১৯ জেলা কমিটি সহ কেন্দ্রীয় কমিটি বর্ষা দিবস পালনকরা, ১৫ জুলাই হতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা।
খুলনা গেজেট/ এস আই