খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

ঈদ : আমার কিছু কথা

সৈয়দা আরিফা আশরাফি চুমকি

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর মসুলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা আমাদেরকে সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়।

দুই বছর পর অনেকটা করোনামুক্ত পরিবেশে এবার ঈদ উদযাপন হবে। মসজিদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ পড়তে হবে না। ধনী গরীব সাদা কালো উচু নিচু সকলে এককাতারে ঈদগাহ, খোলামাঠ বা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

এবারের ঈদে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো বড় শহর থেকে নগর এমনকি পল্লীতে যে যার মত করে ঈদের বাজার করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন ঈদের বাজারের মন্দা ভাব অনেকটা কেটে গেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন দাম নাগালের বাইরে। আর ঈদের নিত্য পণ্যর দাম আকাশ ছোয়া। সোয়াবিন তেলের কেজি দুই শত টাকা ছুঁয়েছে। চাল সিমাই চিনি সহ সকল পণ্যর দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবার সময় কই কর্তাদের? কোন কোন মন্ত্রী তো বলছেন আমাদের ক্রয় করার সামর্থ আছে। তাই অনেক নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তের ঘরে ঈদের আনন্দ নিরানন্দ হয়ে যাবে।

এবার ঘোরাঘুরি করতে কোন বাধা নেই। সুন্দরবন, কক্সবাজার, কুয়াকাটা ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নামতে পারে। তবে বাস ও লঞ্চের ভাড়া মালিকরা ইচ্ছেমত বাড়িয়ে দিয়েছে। জনগন তাদের হাতে বন্দী। সরকারের জবাবদিহিতা কোথায় ? রোজার মধ্যেও চলেছে সরকারি জমি দখল, বাড়ি দখল ও নদী দখল। এগুলো ঈদের আনন্দ নিরানন্দ করে দিয়েছে। ঢাকায় খেলার মাঠে থানা করতে যেয়ে কি ঘটনা ঘটলো তাতো সকলের জানা। রাস্তা ঘাট,হোটেল, দোকান যেখানেই যান সাধারণ মানুষ আরো সাধারণ হয়ে গেছে। ভেজালে প্রতিবাদ নেই, ওজনে কম দিলে কেউ কথা বলেনা, চোখের সামনে অন্যায় দেখলে কেউ এগিয়ে এসে জানতে চাননা কি হচ্ছে। সবকিছু মাপা রাজনীতি দিয়ে। হানিফ সংকেত মত বলতে হয় দুশ্চিন্তাই এখন চিন্তা।

লেখা শেষ করার আগে একটা কথা বলা জরুরি। আমার ছোট বেলা ঈদ সেটা ছিল অন্যরকম। নতুন জামা, জুতা সহ ঈদের জন্য যা কেনা হতো ঈদের আগে কাউকে দেখাতাম না। ঈদের দিন নতুন জামা, জুতা পড়ে ঘুরতাম আর বড়দের কাছ থেকে সেলামি নিতাম। আত্মীয় বা পরিচিতজনরা একে অপরের বাড়ি যেয়ে কুশল বিনিময় করতেন বা গল্প করতেন। আর এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন নতুন কিছু আগে মোবাইলে আপলোড দেয়। সেলামীর পরিবর্তে এমবি বা ফ্লাক্সি চায়। কেউ যদি কারো বাড়ি যায়ও গল্প করার পরিবর্তে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। মনে হয় যেন সকলে মোবাইলে ক্লাস করছে। সত্যি আমরা কি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি !




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!