খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  দাবদহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৫ দিন, খুলবে ২৮ এপ্রিল

ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের সুপার টুয়েলভের খেলায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ জড়ো করেছে মাত্র ১২৪ রান, ৯ উইকেট হারিয়ে।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে একটি পরিবর্তন নিয়ে এদিন খেলতে নামে বাংলাদেশ। চোট পেয়ে ছিটকে পড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে নেওয়া হয় শরিফুল ইসলামকে। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

মঈন আলীর করা প্রথম ওভারে দুটি চার হাঁকিয়ে জড়তা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে প্রথম ওভারে ১০ রান জড়ো করা বাংলাদেশ তৃতীয় ওভারে, মঈনের বলেই হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনারকে। দারুণ প্রত্যাবর্তনে মঈন চাপ সৃষ্টি করেন টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপে।

এরপর অনেক চেষ্টা করেও সেই চাপ আর দূর করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৭ বলে ৪ রান করে সাকিব আল হাসান বিদায় নিলে দায়িত্ব বর্তায় মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে। তবে দুজনের কেউই সুবিধা করতে পারেননি।

সাবধানী ব্যাটিংয়ে ইনিংস শুরু করা মুশফিক রিয়াদের সাথে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৭ রানের পার্টনারশিপ। দুজনেই ক্রিজে টিকে থাকলে হয়ত আশার আলো দেখা হত দলের। তবে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ার আউটের বদলে চারের সংকেত দিলেও রিভিউ নিয়ে সাফল্য পেয়ে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। বিদায়ের আগে ৩০ বলে ২৯ রান করেন মুশফিক, তিনটি চারের মাধ্যমে।

এরপর ছিল ব্যাটসম্যানদের ভুল বোঝাবুঝির চর্চা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে বোঝাপড়া ভালো না হওয়ায় আফিফ হোসেন ধ্রুব (৬ বলে ৫ রান) ক্রিজে এসেই রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। অদ্ভুত কিন্তু সত্যি, পরের দুই বলেও ইংলিশদের রান আউটের সুযোগ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড কতটা চাপ সৃষ্টি করেছে, যেন তার আদর্শ উদাহরণ।

রিয়াদ নিজেও থিতু হতে পারেননি। ২৪ বল খেললেও রান করেছেন ১৯, বিদায় নিয়েছেন দলকে বিপদের মুহূর্তে রেখে। এরপর শেখ মেহেদী হাসান বিদায় নেন ১০ বলে ১১ রান করে। সাইফউদ্দিনের অনুপস্থিতিতে নয় নম্বরে নামানো হয় নাসুম আহমেদকে। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে তিনিই যা আলো ছড়িয়েছেন।

১৯তম ওভারে আদিল রশিদকে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান সিলেটের এই স্পিনার। তবে ম্লান ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। ১৮ বলের মোকাবেলায় ১৬ রান করে আউট হন ইনিংসের শেষ ওভারে, হাঁকাতে পারেননি কোনো বাউন্ডারি। ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসুম।

ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হন মুস্তাফিজুর রহমান। তাতে টিমাল মিলস শিকার করেন তৃতীয় উইকেট। বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল মোট ৫২টি ডট বল। এছাড়া মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!