ভোজ্য তেল ২০২১ ও ২০২২ সালে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়। দফায় দফায় দাম বাড়ে। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করে। দু’বছর ধরে বাজার অস্থিতিশীল ছিল। আমদানি কমাতে খুলনায় এবার সরিষা ও সূর্যমুখী চাষে বিপ্লব ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত দুই বছরে করোনার ধাক্কা সামাল দেয়া যায়নি।গত দু’বছরে দফায় দফায় ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে টিসিবি এ দুই বছরে একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে ভোজ্য তেল বিক্রি করেন।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, গত মৌসুমে জেলায় ৯৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা ও ৯০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করা হয়। এ বছর জেলায় ১ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদে ১০৯৬ মেট্রিকটন এবং ১ হাজার ৬৯৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদে ২৩৪ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার আবাদকৃত সূর্যমুখী ও সরিষা চাষের এলাকাগুলো হচ্ছে খুলনা নগরীর দৌলতপুর, লবনচরা, রূপসা, বটিয়াঘাটা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, তেরখাদা, দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তেল আমদানি কমানোর লক্ষ্যে তেলবীজ উৎপাদন ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য তিন বছরের রোড ম্যাপ দিয়েছে সরকার। এ বছরই ৩০ শতাংশ তেল ফসল আবাদ বাড়ানোর কথা রয়েছে। সূর্যমূখীওি সরিষা মিলে তেলবীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি আবাদ হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি