খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
নগর ও জেলা আ'লীগের স্মরণসভা

আব্দুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিক ছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যা. সরদার আব্দুর রাজ্জাকের ২১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট)  খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পৃথক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নগর আ’লীগ : মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হত্যার রাজনীতির শিকার সরদার আব্দুর রাজ্জাক। তারা বাংলাদেশ থেকে বেছে বেছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরদার আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, ওই সময় বিএনপি-জামায়েত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে মানুষের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে ছক একে নিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। যার প্রভাব নির্বাচনে পড়ে। বিএনপি-জামায়েত আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার মধ্য দিয়ে স্থুল কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিলো। ক্ষমতায় এসে তারা হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ চালায়। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ কখনও শান্তিতে থাকতে পারে না। তাই স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়েতকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু‘র আদর্শের সৈনিক অধ্যা. সরদার আব্দুর রাজ্জাকের মত ত্যাগী নেতাদের অনুসরণ করে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যা. সরদার আব্দুর রাজ্জাকের ২১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা ও শহীদ অধ্যা. সরদার আব্দুর রাজ্জাকের ভ্রাতুষ্পুত্র অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস আহমেদ।

মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. আইউব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, মোঃ শফিকুর রহমান পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, শেখ আবিদ উল্লাহ, বাবুল সরদার বাদল, মোঃ জাহিদ হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. জাকির হোসেন, মোঃ সিহাব উদ্দিন, সমীর কৃষ্ণ হীরা, আকরাম সরদার, মোঃ জিলহজ্ব হাওলাদার, নূরানী রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, নাজনিন নাহার বিউটি, আফরোজা সুলতানা বিথী, আঞ্জুমানোয়ারা, রওশন আরা রিমা, মো. শহীদুল হাসান, মোঃ আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, তাজমুল হক তাজু, জহির আব্বাস, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, ওমর কামাল সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে অধ্যাপক সরদার আব্দুর রাজ্জাকের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো. আব্দুর রহীম খান ও হাফেজ আবু সাহেদ।

জেলা আ’লীগ : জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার আব্দুর রাজ্জাক একজন সৎ ও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিক ছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে স্থানীয় ভাবে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করতে চেয়েছিল। স্বাধীনতা বিরোধি চক্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি কোন দিন পারবেওনা।

বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) আসরবাদ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার আব্দুর রাজ্জাক এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারি তার বক্তব্যে বলেন, রূপসা তথা এ অ লে দুর্দিনে আওয়ামী লীগের জন্য আব্দুর রাজ্জাকের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আব্দুর রাজ্জাক সহ যে সকল নেতৃবৃন্দ হত্যা হয়েছে, সকল খুনি ও কুশিলবদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেন।

স্মরণ সভা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এমএম মুজিবর রহমান, এ্যাডভোকেট রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিএমএ ছালাম, এ্যাডভোকেট নিমাই চন্দ্র রায় রফিকুর রহমান রিপন, কামরুজ্জামান জামাল এ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, খালেদীন রশীদী সুকর্ণ, জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, এমএ রিয়াজ কচি, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, মোজাফফর মোল্যা, খায়রুল আলম, সায়েদুজ্জামান সম্রাট, অসিত বরণ বিশ্বাস, শাহিনা আক্তার লিপি, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, আশরাফুজ্জামান বাবুল, মোঃ মানিকুজ্জামান অশোক, সেতু, সরদার জাকির, অজিত বিশ্বাস, মোঃ ইমরান হোসেন, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, দ্বিপ পান্ডে, আয়েশা আক্তার রিপা, মৃনাল কান্তি বাছাড় , ইয়াসিন আরাফাত, বাধন হালদার, শেখ রাসেল, খায়রুল বাশার, সাইফুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম, হিরন প্রমূখ।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!