খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাঙামাটির সাজেকে শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক পাহাড়ের খাদে পড়ে ৯ জন নিহত
তরুণীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

আবু বক্করের স্বীকারোক্তি, অনৈতিক সম্পর্কের জেরে হত্যাকান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কবিতা রানী হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামি আবু বক্কর মোল্লা। জবানবন্দি রেকর্ড করেন খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- ১ এর বিচারক তরিকুল ইসলাম। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে ৬ নভেম্বর রাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা জালে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার হয় আবু বক্কর ও তার কথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগম। আবু বক্কর রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের জনৈক জাকির মোল্লার ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এস আই রহিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ৫ নভেম্বর রাতে আবু বক্কর হাঁটতে বের হন। ওই রাতে কবিতার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক সম্পর্কে রাজি হয়। পরে গোবরচাকা আবু বক্করের বাড়িতে নেওয়া হয় কবিতা রানিকে। সেখানে শারীরিক সম্পর্ক সম্পন্ন হওয়ার পর কবিতা আবু বক্করের কাছে চুক্তির চেয়ে আরও বেশী টাকা দাবি করেন। কিন্তু আবু বক্কর ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর উচু গলায় কথা বলতে থাকেন কবিতা। তাকে নিচু গলায় কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন আসামি।
পরবর্তীতে তাকে হুমকি দিতে থাকেন কবিতা। দাবিকৃত টাকা না দিলে হয় পুলিশ না হয় এ বাড়ির লোকজনকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা হবে। এরমধ্যে বাড়ির মালিক রাজুর খালা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যান। তাকে চুপ করতে বলেন আসামি আবু বক্কর। কিন্তু কিছুতেই ওই নারী থামতে চান না।

কবিতার মুখ বন্ধ করার জন্য মুখ ও নাক চেপে ধরেন আবু বক্কর। মুখ চেপে তিনি দরজার দিকে লক্ষ্য রাখেন। এসময়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে কবিতা মারা যান। পরবর্তীতে লাশ কী করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। আবু বক্কর সাহায্যের জন্য বন্ধুদের ফোন দেয় কিন্তু কোন স্থান থেকে সাহায্যে পাননি তিনি। লাশটি গুম করার জন্য প্রথমে তিনি ধারলো বটি দিয়ে কবিতার দু’হাতের কবজি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়। মাথাটি পলিথিনে ও দেহটি একটি বাক্সে ভেতর ভরে রাখেন তিনি। হাতের কবজি দু’টি বাজারের ব্যাগে করে বাড়ির পাশে সরু স্থানের একটি ড্রেনে ফেলে দিয়ে কথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যান।

এস আই রহিত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, লাশ উদ্ধার হওয়ার দিনে সোনাডাঙ্গা থানার এস আই শান্তুনু রহমান বাদী হয়ে আবু বক্কর ও তার কথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগমের নামসহ অজ্ঞাতনাম আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন(যার নং ২)। আদালতে স্বীকার দেওয়ার পূর্বে থানায় পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয়। সকালে জবানবন্দি দিতে চাইলে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!