বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। অশনির প্রভাবে খুলনাজুড়ে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে দমকা বা ঝড়ো বাতাস নেই। সোমবার (৯ মে) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলায় ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিন-৯ অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১২টায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘর্ণিঝড় মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এখনো মোংলা সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উপকূলে আঘাত হানবে। এর প্রভাবে খুলনায় সোমবার বেলা ১১টা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত খুলনায় ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১১ মে) এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তখন কিছুটা জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে।
নগরীর খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা হাসানুর রহমান বলেন, বেলা ১১টা থেকে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। এখন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টি হলেও কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়ার পর আজ বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝখানে টানা কয়েকদিনের গরমের পর বৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশটা ঠান্ডা রয়েছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিত কুমার সরকার বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। এতে ঝুকি কম। তবুও প্রত্যেক উপজেলায় সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২ নম্বর সংকেত থেকে ৪-এ উঠলে তখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, খুলনায় ৩৯৬টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। যেগুলোতে ২ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। প্রয়োজন হলে সেগুলো খুলে দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই