খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

অভয়নগরে ভৈরব সেতুর ৪৬ লাইটের মধ্যে ২৭টি নষ্ট

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদীর উপর অবস্থিত ভৈরব সেতুর লাইট অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রাতে দুর্ঘটনা ও চুরি বেড়ে গেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। ৪৬ লাইটের মধ্যে জ্বলে মাত্র ১৯ টা।

উপজেলার শিল্পবন্দর নওয়াপাড়া দেশের অন্যতম বড় একটি মোকাম। এ বন্দর দিয়ে সার, কয়লা, পাথর,বিটুমিন, গম, ভুট্টা,বালি, খৈল, ভূষিসহ অন্যান্য সামগ্রি আমদানি ও রপ্তানি হয়ে থাকে। এই বন্দরের সাথে দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীদের নিয়মিত ব্যবসায়িক যোগসূত্র রয়েছে। কার্গো, বার্জ, ছোট-বড় জাহাজে এই বন্দরে বিভিন্ন মালামাল আসে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের নানা প্রান্তে এখানকার মালামাল সরবরাহ করা হয়।

ব্যবসা সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য সরকার ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে। কিন্তু আড়াই বছর না পার হতেই সেতুর লাইট অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় সময় রাতে দুর্ঘটনা ও চুরি বেড়েই চলেছে।

সরেজমিনে দেখা যায় অধিকাংশ লাইট জ্বলে না। মোট ৪৬ টা লাম্পপোস্ট আছে। তন্মাধ্যে জ্বলে ১৯ টার মতন। লাইট নিয়ে এলাকাবাসীর নানান অভিযোগ।

উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের হাকিম আলী জানান, সন্ধ্যার পর এই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। লাইটগুলো প্রথমে কয়েক দিন জ্বলতো। বেশ কয়েকমাস যাওয়ার পর এখন তা আর জ্বলছে না। সেতু দিয়ে যাওয়া যায় না। অন্ধকার থাকে।রাতে গাড়ি চালানোর সময় চোখে লাইটের আলো লাগে।

ভাংগাগেট গ্রামের বাসিন্দা বেনজির হোসেন বলেন, রাতে লাইট না জ্বলার কারণে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারিরা।

ব্রীজের ফোরম্যান বলেন, এলাকায় কিছু চক্র আছে, তারা এই লাইটের তার কেটে নিয়ে চলে যায়। সেই তার পুনরায় না লাগানো পর্যন্ত লাইট জ্বলবে না। বিশেষ করে সেতুর পূর্বদিকের লাইটগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ থাকে। তিনি আরও বলেন, কয়েকবার চোরদের আটক করে থানায় অভিযোগ করেছি। তারপরও চুরি থামছে না।

উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক জানান, লাইট গুলো প্রথমে কয়েক দিন জ্বলতো। বেশ কয়েকমাস যাওয়ার পর এখন তা আর জ্বলে না। কয়েক বার ক্যাবল চুরি হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!