খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েব

অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ আরও তিনজন সিআইডির হেফাজতে

গে‌জেট ডেস্ক

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ আরও তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হেফাজতে নেওয়া নতুন তিনজন হলেন- অহিদ খান, সেলিম ও হাবিব। তাদের মধ্যে অহিদ খান ওই অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। আর বাকি দুইজন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ৯ জন কর্মচারী ও একজন ঠিকাদারকে হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েবের ঘটনায় গতকাল (১ নভেম্বর) রাতে রাজশাহী থেকে এক ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছে সিআইডি। ঠিকাদার নাসিমুল ইসলাম গণি টোটনকে সোমবার সন্ধ্যায় সিআইডির ঢাকার একটি দল রাজশাহী মহানগরীর কেশবপুর এলাকায় টোটনের বাসায় অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সিআইডি কাউকে ওই বাড়িতে প্রবেশ করতে বা বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় সিআইডি সদস্যরা তাকে একটি মাইক্রোবাসে ঢাকার নিয়ে আসে।

সিআইডির রাজশাহীর বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি ফাইল গায়েব হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত। ওই কেনাকাটার ঠিকাদার ছিলেন টোটন। এ ঘটনায় সিআইডি মনে করেছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সিআইডি
হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনার কারণে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তাকে এখনো গ্রেফতার বা আটক দেখানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের কেনাকাটার ১৭টি নথি খোয়া গেছে। গত ২৭ অক্টোবর নথিগুলোর ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়েছিল। পরের দিন ফাইলগুলো আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করছে সিআইডি।

এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার বাদী হয়ে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া যাওয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, রিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথি। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাদিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

ফাইল চুরির এই ঘটনায় মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্‌ আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!