খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি; গেজেট শিগগিরই
‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

সড়ক, মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে বিধি অনুযায়ী টোল আদায়

গেজেট ডেস্ক

মহাসড়কে টোল আদায়, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কারে ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবাধ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। নতুন এ আইনটি সড়ক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত।

তিনি জানান, সরকার গেজেট দিয়ে বলে দেবে কোনো সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করবে না। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরিচালনা কেমন করা হবে। কোনগুলোয় টোল নেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সড়ক, মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে বিধি অনুযায়ী টোল আদায় করা যাবে। সব সড়কেই টোল আদায় করা যাবে না। টোল বিধি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সবগুলোতে টোল নিতে হবে। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় যে প্রজেক্টগুলো হবে সেগুলোতে টোল দিতে হবে। সেতু বিভাগ টোল ঠিক করবে। কোন কোন সড়কে টোল আদায় করবে তা বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে।

হাইওয়ের পাশে কম গতির গাড়ি চলার লেন রাখা হচ্ছে। বিধি দিয়ে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে হাইওয়েতে সিএনজি বা রিক্সা উঠতে পারবে না। ম্যানেজমেন্ট সিস্টমটা এই আইনের মাধ্যমে করা হবে। সংশোধিত সড়ক পরিবহন আইন খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রিসভায় আনতে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট স্যুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতুনির্মাণ ও সংস্কার করবে। মহাসড়ক নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সময় এ কাজের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি ও মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়ক বা সড়কের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, অবৈধ দখল বা প্রবেশমুক্ত রাখার জন্য কী করণীয় হবে এবং সার্ভে করার জন্য কতদূর পর্যন্ত মানুষের বাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে পারবে তা উল্লেখ রয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দণ্ড দেওয়া যাবে। দেশে হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণে এতদিন আইন ছিল না, এখন সমন্বিত একটি আইন করা হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!