খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে চূড়ান্ত রায় ১৭ ডিসেম্বর
  রাজধানীর শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ফুল ব্যবসায়ী নিহত
  গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেক হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের আবেদন
  আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার

‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’ মিষ্টি, কী দিয়ে তৈরি এটি?

গেজেট ডেস্ক

ভারতের সবথেকে দামি মিষ্টি ‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’! নাম শুনেই বুঝা হচ্ছে, এ কোনো যে সে মিষ্টি নয়! যার নামেই রয়েছে ‘স্বর্ণ ভষ্ম’, সে কি দামি না হয়ে থাকতে পারে?

একদমই তাই। কারণ, এই মিষ্টির নামেই নয়, উপাদানেও মিশ্রিত রয়েছে আসল সোনার মিহি ‘ভষ্ম’। সেইসঙ্গে রয়েছে রুপোর ভষ্মও।

তথ্য বলছে, ‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’ নামক এই মিষ্টিটি তৈরি করার সময়েই সোনা ও রুপোর মসৃণ ভষ্ম ব্যবহার করা হয়! অনেকেই দাবি করেন, এই মিষ্টি নাকি ভারতের সবথেকে দামি মিষ্টি!

তথ্য বলছে, প্রতি কিলোগ্রাম ‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’ কিনতে দাম পড়ে ৭০ হাজার টাকা!

শুধু তাই নয়, রাজকীয় এই মিষ্টি ভারতের সবথেকে স্বাস্থ্যকর মিষ্টি বলেও দাবি করা হয়! এমন দাবি করার পেছনে অবশ্য যুক্তিও রয়েছে কিছু।

জয়পুরের এই মিষ্টির সঙ্গে সবার পরিচয় করানো হয়েছিল। দাবি করা হয়, এই মিষ্টিতে আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে সোনা ও রুপোর গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। সেই কারণেই এটিকে ভারতের সবথেকে স্বাস্থ্যকর মিষ্টি বলেন অনেকে।

যারা এই মিষ্টি তৈরি করেন, তারা এই বিষয়টিকে আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের বক্তব্য হল, সোনা ও রুপো যখন পোড়ানো হয়, তখন এই দুটি অতি মূল্যবান ধাতুর মিহি ভষ্ম উড়তে থাকে।

আয়ুর্বেদে এই ভষ্মকে নাকি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। সেই কারণেই এই দুই ধাতুর ভষ্ম ব্যবহার করে এই মিষ্টি তৈরি করা হয়।

এছাড়াও, এই মিষ্টি তৈরি করতে সেরা মানের আমন্ড বা কাঠবাদাম ব্যবহার করা হয়। যা আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। উল্লেখ্য, এই বিশেষ ধরনের আমন্ড শুধু যে খেতেই সুস্বাদু, তাই নয়। এটি বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর বাদাম হিসাবেও গণ্য করা হয়।

সেইসঙ্গে, এই মিষ্টিতে এক রাজকীয় গন্ধ আনার জন্য সবথেকে সেরা মানের জাফরান বা কেশর ব্যবহার করা হয়। যা বিশ্বের সব থেকে দামি সুগন্ধী মশলা।

স্বর্ণ ভষ্ম পাক তৈরি করাটা কোনো শিল্পের থেকে কম কিছু নয়। সমস্ত উপাদানের মিশ্রণ ভালো করে মেশানোর পর সেগুলিকে এক-একটি ছোট মিষ্টির আকারে গড়ে নেওয়া হয়।

তারপর খুব যত্ন করে সেই মিষ্টি সাজানো হয় সোনা ও রুপোর তবক দিয়ে। তার ওপর দেওয়া হয় সুস্বাদু পাইন নাট। এই মিষ্টি কোনো সাধারণ মিষ্টির বাক্সে সরবরাহ করা হয় না। বস্তুত, এই মিষ্টি যে বাক্সে ভরে বিক্রি করা হয়, সেটি দেখতে একেবারে গয়নার বাক্সের মতো হয়!

দীপাবলির সময় এই মিষ্টির চাহিদা থাকে সবথেকে বেশি। ফলে, সেই সময় এর দামও থাকে ঊর্ধ্বমুখী।

এছাড়া, এই একইরকমভাবে আরও একটি মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। তাকে বলে ‘চান্দি ভষ্ম পাক’। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে ওই মিষ্টিতে মূলত রুপোর ভষ্মই ব্যবহার করা হয়। এর দাম প্রতি কিলোগ্রামে ৩৩ হাজার থেকে ৪৫ হাজারের মধ্যে থাকে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!