সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে। হত্যার পর গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়ারও চেষ্টা করে শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের কুশুলিয়া মল্লিকপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনা মৃতের স্বামী ও শ্বশুরকে পুলিশ হেফাজেতে নিয়েছে।
মারা যাওয়া ওই গৃহবধু হলেন, সুমিতা সরদার। তিনি উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের বিশ্বজিৎ সরদারের মেয়ে।
নিহতের পিতা বিশ্বজিৎ সরদার জানান, উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের নির্মল মন্ডলের ছেলে মিঠুন মন্ডলের সাথে প্রায় ৬ বছর পূর্বে তার মেয়ে সুমিতা সরদারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৪ বছর বয়সী একটি কন্য সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে জামাতা বিভিন্ন সময় তার মেয়ের নিকট যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে মেয়ের সুখের কথা ভেবে জামাতাকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনে দিয়েছি। তারপরও জামাতা মিঠুন ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েটাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
তার মেয়ে সুমিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর এটাকে আত্মহত্যার নাটক সাজাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অপরদিকে নিহত গৃহবধূর স্বামী মিঠুন মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে তার স্ত্রী সুমিতা সরদার সকলের অগোচরে বাড়ির সামনে ছবেদা গাছের সাথে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কী কারণে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারে তিনি অবগত নন।
থানার উপ-পরিদর্শক নকীব আহমেদ পান্নু জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে নিহত গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যজনক মনে হওয়ায় স্বামী মিঠুন মন্ডল ও শশুর নির্মল মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।