শুক্রবার ভোর রাত থেকে টানা ৩৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তমব্রু সংলগ্ন বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ওপারে আবারো ভারী গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য শত শত রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওপারে আবারো গোলাগুলি শুরু হওয়ায় এপারে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনী ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’ টহল জোরদার করে। তারা লোকজনকে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি না যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলম জানান, শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা পৌনে ৩টার দিকে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ এপার থেকে শোনা যায়।
এদিকে অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, শনিবার ( ০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে তমব্রু উত্তর পাড়ার কাছাকাছি যাত্রীর জন্য অপেক্ষামান সিএনজি চালিত একটি ট্যাক্সির উপর ওপার থেকে নিক্ষিপ্ত একটি গুলি এসে বিদ্ধ হয়। এতে গাড়ির সামনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘুমধুম পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘দুপুরের পর ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
তবে ওপার থেকে নিক্ষিপ্ত কোনো গুলি এপারের কোনো ট্যাক্সির উপর পড়েছে কিনা জানি না।’
অপরদিকে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সীমান্তের এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিছিল-সমাবেশ এবং মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য নদী ও পাহাড়ি পথে শত শত রোহিঙ্গা নারী-শিশুর অবস্থানে শংকিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তের বাসিন্দারা। উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে কোন ধরনের অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটতে পারে, সে বিষয়ে তারা সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি