যশোরে বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৭ নেতাকর্মীকে। আটককৃতদের কাছ থেকে ৬টি বোমা ও ৪৯ পিছ ছোট সাইজের পাথর উদ্ধারের দাবি করেছেন মামলার বাদী পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম। তিনি শুক্রবার মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
আটককৃত বিএনপির নেতৃবৃন্দ হলেন, শহরের পশ্চিম বারান্দী কদমতলার হুসাইন আহমেদ, সদর উপজেলার আরবপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নেছার আলী, শংকরপুরের জামির হোসেন, খোলাডাঙ্গার জাকির হোসেন, নাজির শংকরপুরের শেখ আবু সাঈদ রিপন, ইছালীর আনিসুর রহমান, চুড়ামনকাটি উত্তরপাড়ার আব্দুস সালাম, সরদার বাগডাঙ্গার হাফিজুর রহমান হাফিজ, পূর্ব বারান্দিপাড়া ঢাকা রোডের হাবিবুর রহমান, আড়পাড়ার আনোয়ার হোসেন, দাইতলার কামাল হোসেন, মাসুদ রানা, ফতেপুরের কোরবান আলী বাচ্চু, চাঁচড়ার ইসমাইল কলোনির শাহিন হোসেন, লেবুতলার আব্দুল খালেক এবং বলরামপুর মধ্যপাড়ার হাদিউজ্জামান ওরফে বদরুল ।
এছাড়া, মামলার পলাতক আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, ষষ্টিতলার আরাফাত হোসেন, কাশিমপুর গ্রামের তাইজুল ইসলাম, ডাকাতিয়া গ্রামের শাহিন, বানিয়ালী গ্রামের আব্দুর রশিদ, শাহবাজপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন, কেশবপুর উপজেলার রাজনগর বাকাবার্শী গ্রামের রেজাউল গাজী, পাঁচরঘাট মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল আলীম, সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন, হাটিবিলা গ্রামের আফজাল হোসেন, নরেন্দ্রপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন, ঝুমঝুমপুর বিজিবি ক্যাম্পের পিছনের জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজাপুর গ্রামের সবদুল মোল্লা, গাইদগাছি গ্রামের মশিয়ার রহমান, আজিজ কাজী, ইছালীর হাকিমপুর বাজারপাড়ার কামরুল ইসলাম, পূর্বপাড়ার কামরুজ্জামান মোল্লা, ছাতিয়ানতলার শামীম কবির অসীম, আবু তালেব, কোদালিয়ার আরিফুল ইসলাম টুকু, এনায়েতপুর গ্রামের দাউদ মোল্লা, আড়াপাড়ার মধু, ছোট শেখহাটির তরিকুল, তালবাড়িয়ার কবির এবং রাজাপুরের হাসান। মামলায় অজ্ঞাতদেরও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে শহরের লালদীঘির পূর্বপাড়ে হরিসভা মন্দিরের সামনে কিছু যুবক ধ্বংসাত্মক, রাষ্ট্র এবং সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য জড়ো হয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায় ‘দুষ্কৃতিকারীরা’ সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছে। সেখান থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয় ও বাকিরা পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে ৬টি ককটেল ও তিনটি ব্যাগে রাখা ছোট সাইজের ৪৯টি পাথর উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এদিকে, মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, যশোরে বিএনপির সফল গণসমাবেশের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে পুলিশ। এজন্য তারা ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহার করে ধরপাকড় চালাচ্ছে। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তৃতীয় দিনের মত ইছালী ও বসুন্দিয়ায় ধরপাকড় শুরু করেছে। ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হচ্ছে। তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।