‘বিনিয়োগ করি যক্ষা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনায় যক্ষারোগ নিয়ন্ত্রণ ও যক্ষা রোগী সনাক্তকরণে সাংবাদিকদের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯মার্চ) বেলা ১২টায় খুলনা ডায়াবেটিস সমিতির সভাকক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) খুলনা শাখা এই সভার আয়োজন করে।
নাটাব খুলনার সদস্য হাসান জহির মুকুলের সভাপতিত্বে ও এস এম নূর হাসান জনি’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন খুলনা ডাঃ সুজাত আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ সাহানা রাজ্জাক, খুলন বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডাঃ শাহ মেহেদী বিন জহুর, খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডিএসএমও ডাঃ সুদীপ্ত সরকার, সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, ব্রাক খুলনার এরিয়া সুপারভাইজার সুব্রত কুমার বিশ্বাস। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নাটাব খুলনার এফএলএস তরুণ কুমার বিশ্বাস।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, নিয়মিত ও পূর্ণ মেয়াদের চিকিৎসায় যক্ষা ভালো হয়। ফুসফুসে রক্ষার প্রধান লক্ষণ হল একনাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি, এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগের পরামর্শ দেন বক্তারা।
এছাড়া যাদের যক্ষা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কিন্তু কোন উপসর্গ নেই, পরীক্ষায় কোন জীবানু পাওয়া যায় না, বুকের এক্সরে করলে নরমাল আসে, তাদের জন্য যক্ষা প্রতিরোধী চিকিৎসা অর্থাৎ টিপিটি প্রযোজ্য। যেমন যক্ষা আক্রান্ত রোগীর বাড়ির লোক, বিশেষ করে পাঁচ বছরের নিচের বয়সের শিশু এবং ষাটোর্ধ ব্যক্তি, ডায়াবেটিক ও কিডনি রোগী ধূমপায়ী মাদক সেবী ইত্যাদি।
খুলনা গেজেট/এমএম