মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সাতক্ষীরায় নতুন ঘর পাচ্ছে ১৩০০ গৃহহীন পরিবার। আগামী মার্চের মধ্যে এসব ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করতে চায় জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় ৯৩৮টি গৃহনির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই শ্লোগানে গত ১ ডিসেম্বর ২০২০ সাতক্ষীরা জেলায় ৯৩৮টি গৃহনির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৩০টি, তালা উপজেলায় ৭৫টি, কলারোয়া উপজেলায় ৩০টি, আশাশুনি উপজেলায় ৩৪৭টি, দেবহাটা উপজেলায় ২৯টি, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৩৭টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ২৯০টি। জেলার আশ্রয়হীন পরিবারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই নতুন ঘর। নির্মাণাধীন এসব বাসগৃহের নির্মাণ কাজ প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ইতমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। বাকীগুলোর নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হবে। আগামী মার্চের মধ্যে এসব ঘরহীন পরিবারকে আধপাকা টিন-শেড এই ঘর দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২ শতাংশ জায়গার ওপর প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি শোবার ঘর, একটি বারান্দা, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। আর যাদের জায়গা আছে, ঘর নেই তাদেরও একই ধরনের ঘর করে দেয়া হবে। উপরে রঙিন টিন এবং নিচে পাকা অর্থাৎ সেমি-পাকা প্রত্যেকটি ঘরের জন্য সরকার বরাদ্দ রেখেছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। নির্দেশনায় বলা আছে, সরকারের খাসজমিতে ভূমিহীনদের জন্য বাড়ি করা হবে। তবে কোনও এলাকায় খাসজমি পাওয়া না গেলে সেখানে প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে জেলা প্রশাসক এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্টরা জেলায় সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করেন। কারও এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, তাদের এই ঘর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যে পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা পুরুষ সদস্য আছে কিন্তু তার বয়স ৬৫ বছরের ওপরে এমন পরিবারকেও ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে নদীভাঙ্গনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তারা এই তালিকাতে রয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রথম ধাপে মোট ১৩শ’ গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর পাবেন। ইতিমধ্যে সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় খাস জমির অভাবে সেখানে এ প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সরকারের নির্দেশনা মেনেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ ও জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। ঘর নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন