খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় গত দুই মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১০৯ জন। এর মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি সারা দেশের ন্যায় দিঘলিয়া উপজেলায়ও করোনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র গত ২৮ এপ্রিল থেকে এন্টিজেন টেস্ট বা র্যাপিড টেস্ট শুরু করে।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ১০০ টাকা এবং এনআইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে তাদের নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পণা অফিসার ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম জানান, গত দুই মাসে এ উপজেলায় ৫৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১০৯ জনের। যারা প্রত্যেকেই বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এবং ৩ জন স্টাফ রয়েছেন। শুরু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যেয়ে অত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৭ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আজ ২৯ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত উপজেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। এর মধ্যে চলতি মাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১০৯ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ড বয় মোঃ কবির মল্লিক জানান, আজ ২৯ জুন (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত তারা ৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছেন এদের মধ্যে ৯ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম