খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট
  রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  জাতীয় পতাকার নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

ডুমুরিয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে ওলের আবাদ

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে ওলের আবাদ। এ বছর ডুমুরিয়ায প্রায় সাত শতাধিক কৃষক ৮০ হেঃ জমিতে এর আবাদ করেছেন। আবহাওয়া ভাল থাকায়, ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। ইতোমধ্যে, অনেকেই ওল উঠানো শুরু করেছেন, বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষক অত্যন্ত খুশি।

চুকনগরের কৃষক মেহেদী হাসান বাবলু বলেন, অন্যান্য বছর বসত বাড়িতে খাওয়ার জন্য দু/একটি ওল গাছ লাগাতাম। এবছর কৃষি বিভাগের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ এবং বীজ-সার সহায়তা পেয়ে ২০ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাদ্রাজী ওল লাগিয়েছিলাম। আমার ওল উঠানো শুরু হয়েছে। গড়ে এক একটি ওলের ওজন হয়েছে ৪ কেজি এবং বর্তমানে কেজি প্রতি মূল্য ৭০ টাকা। আমি এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকার ওল বিক্রি করেছি এবং আরও প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। আমার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা এবং সবমিলিয়ে লাভ হবে ৭০ হাজার টাকা। এটি খুব ভাল ফসল।

বরাতিয়া গ্রামের কৃষক তাপস সরকার বলেন, আমি কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রদর্শনী পেয়ে ২০ শতক জমিতে ওল লাগিয়েছি, ফলনও খুব ভাল হয়েছে।

খর্নিয়া গ্রামের কৃষক আবু হানিফ মোড়ল বলেন, এ বছর কৃষি বিভাগের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ বিঘা জমিতে ওলের আবাদ করেছি, ফলনও খুব ভাল হয়েছে। আগামীতে এর বীজ রাখব এবং এলাকায় এর আবাদ অনেক বৃদ্ধি পাবে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়ার মাটিও আবহাওয়া এটি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ বছর ডুমুরিয়ায প্রায় সাত শতাধিক কৃষক ৮০ হেঃ জমিতে এর আবাদ করেছেন। আবহাওয়া ভাল থাকায়, ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। ইতোমধ্যে, অনেকই ওল উঠান শুরু করেছেন, বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষক অত্যন্ত খুশি।

বরাতিয়া গ্রামের কৃষক তাপস সরকার বলেন, আমি কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রদর্শনী পেয়ে ২০ শতক জমিতে ওল লাগিয়েছি, ফলনও খুব ভাল হয়েছে।

খর্ণিয়া গ্রামের কৃষক আবু হানিফ মোড়ল বলেন, এ বছর কৃষি বিভাগের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ বিঘা জমিতে ওলের আবাদ করেছি, ফলনও খুব ভাল হয়েছে। আগামীতে এর বীজ রাখব এবং এলাকায় এর আবাদ অনেক বৃদ্ধি পাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, কন্দাল ফসল বলতেই নিরাপদ এবং উচ্চ মূল্যের। সাধারণত ওল যখন বাজারে আসে, তখন বাজারে অন্যান্য সবজি কম থাকে। ফলে বাজারে মূল্য ও চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এ বছর কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৩০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ এবং ৪০-৪৫ জনের প্রদর্শনী সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ফলে গতবারের তুলনায় এর আবাদ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ডুমুরিয়ার মাটিও আবহাওয়া এটি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আগামীতে এটি সম্প্রসারনে আরও বেশি লোককে প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!