খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
  বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব
  নাটোরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে এক ট্রাক ড্রাইভার নিহত
লকডাউনে কষ্টে আছে শ্রমজীবী মানুষ

চিতলমারীতে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে না জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানরা

এস এস সাগর, চিতলমারী

গত বছর লকডাউনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহয়তা পৌঁছে দিলেও এবার তাদের দেখা নেই। ব্যাক্তিগত ভাবে কেউই নিচ্ছেন না কারো খবর। সবাই চেয়ে আছেন সরকারী ত্রাণ সাহায্যের দিকে। এ পরিস্থিতিতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শ্রমজীবি মানুষেরা চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছেন।

লকডাউনের দিন যত বাড়ছে ততই বড়ছে তাদের অভাব। বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় এমনটি জানালেন ঘড়ি মেকার রুহুল আমিন মিঠু, ইলেকট্রিশিয়ান ভোলা বসু, মোটরসাইকেল মেকার প্রকাশ বিশ্বাস, ভ্যান চালক অদুদ বিশ্বাস, জুতা মেকার সহাদেব ও কাশিনাথ দাস।

তারা আরও জানান, টানা দুই সপ্তাহের চলমান লকডাউনে এ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম বিপাকে পড়েছেন। গত বছর লকডাউনের সময় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়নের প্রত্যাশায় অসংখ্য জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবান ব্যাক্তি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহয়তা করেছেন। কিন্তু এবার কঠোর লকডাউনে তাদের কারো কোনো দেখা মিলছে না। চেয়ারম্যান-মেম্বারও চেয়ে আছেন সরকারী ত্রাণের দিকে। গতবার তারা নিজেদের পকেট থেকে সাহায্য করলেও এবার তা করছেন না।

তাদের ভাষায়, এই লকডাউনে সবচেয়ে কষ্টে আছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, চায়ের দোকানদার, দিনমজুর, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ড্রাইভার, ভ্যান চালক, কুলি, দিনমজুর ও ইজিবাইক ড্রাইভারসহ স্বল্প আয়ের মানুষজন। ১৪ দিনের লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় পর থেকে তারা ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের কোন রোজগারের পথ না থাকায় সংসার চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।

উপজেলা হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস, সুজন শেখ, ফারুখ শেখ, হাফিজ শেখসহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে জানান, লকডাউনের পর থেকে তেমন কোন কাজ নেই। রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এখন আর কেউ তাদের খবর নিচ্ছে না। গত বছর লকডাউনে ইউপি নির্বচনকে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধি, বিত্তবানসহ মনোনয়ন প্রত্যাশিরা তাদের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিলেও এবার তাদের দেখা নেই। এ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী বলেন, ভ্যান চালকদের ৫০০ টাকা করে সহয়তা প্রদান করা হয়েছে। আরও ত্রাণ সহায়তা পেলে পরবর্তীতে অন্যদের দেওয়া হবে। তবে লকডাউনে ব্যাক্তিগত ভাবে কেউই এ বছর এ উপজেলার অসহায় মানুষদের খাদ্য সহয়তা দেননি।

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!