মহানগরী খুলনাসহ আশপাশের এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে দমকা-হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় পৌনে একঘন্টাব্যাপী বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। এতে রাতে তাপমাত্রা ২/৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেয়েছে। এদিকে আগামী ১ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
গবেষষ পলাশ তাঁর ফেসবুকে এই খবর দিয়েছেন। গত ৮ মার্চ তিনি আভাস দিয়েছিলেন ১৫ থেকে ১৯ মার্চ দেশে কালবৈশাখী ঝড় হবে, যা সত্য হয়েছে। পরে এই ঝড় ২২ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) তাদের ফেসবুক পেজে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে বোরো চাষিদের বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে ধানগাছ কুশি ও থোড় অবস্থায় রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধানে মাজরা পোকা, বাদামি গাছফড়িং, পাতামোড়ানো পোকা ও গান্ধিপোকার আক্রমণ বাড়তে পারে। মাজরা পোকার ডিমের গাদা নষ্ট করে ফেলতে হবে। এজন্য ক্ষেতে ডালপালা পুঁতে দিতে হবে। মরা ডিগ ১০-১৫ ভাগ বা মরা শীষ ৫ ভাগ পেলে মাইনেকটো এক্সট্রা ৪০ এসসি, ভায়েগো ২০ এসসি, ভায়েগো সুপার্ব ১ জিআর, বেল্টএক্সপার্ট ৪৮ এসপি, বাতির ৯৫ এসপি, সানটাপ ৫০ এসপি, ডার্সবান ২০ ইসি, মার্শাল ২০ এসি, ভির্তাকো ৪০ ডব্লিউজি সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
বাদামি ফড়িংয়ের ক্ষতি থেকে বাঁচতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। পোকা বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে হবে। উর্বর জমিতে ইউরো ব্যবহার করা যাবে না। ক্ষেতে ৪টি স্ত্রী পোকা দেখা দিলে বায়ো-চমক, রাস ৪৫ এসসি, নিমাজল ১.২ ইসি, প্লিনাম ৫০ ডব্লিউজি, একতারা ২৫ ডব্লিউজি, ব্যবহার করতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি