খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
  রাঙামাটির সাজেকে শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক পাহাড়ের খাদে পড়ে ৯ জন নিহত

খুলনায় চলছে ‘কঠোর লকডাউন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। খুলনা মহানগরীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশী চেকপোষ্ট। তৎপর রয়েছে প্রশাসনের সদস্যরা। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোন যাত্রীবাহী পরিবহন খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে রাতে যে সকল বাস ঢাকা থেকে খুলনার উদ্যেশে ছেড়েছে তার দু’একটা দেখা গেছে।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই বাড়ি থেকে বের যায়নি। নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। দু’একজন চলাচল করলেও পুলিশের চেকপেষ্টের কাছে এসে তাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। অকারণে মটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির কারণে কয়েকজনকে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আটক করা হয়েছে অনেকের গাড়ি। দূরপাল্লার বাসের কয়েকজন যাত্রীকে মালামাল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে গাড়ির জন্য। সকাল থেকে নগরীর কোথাও কোন গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে আসেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সেলিম হায়দার। সোহাগ পরিবহনের গাড়ি থেকে স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। মোংলা যাবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। পরিবহন না পেয়ে হতাশ হয়ে সেখানে অনেক্ষণ দাড়িয়ে ছিলেন। পরে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে অধিক ভাড়ায় মোংলার পথে রওনা হন।

 

সুমন, শাকিল ও রায়হান তিন বন্ধু। একটি মোটরসাইকেল করে নগরীতে ঘুরছিল। শিববাড়ি মোড়ে এসে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসা করা হলে তারা এর কোন উত্তর দিতে পারেনি। পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটক করে তাদের ছেড়ে দেয়।

মূল সড়ক ফাঁকা থাকলেও নগরীর অলিগলিতে রয়েছে জনসমাগম। খোলা রয়েছে চা ও কিছু মুদি দোকান। অর্ধেক সাটার নামিয়ে সেখানে চলছে সব বয়সী মানুষের আড্ডা। পুলিশের গাড়ি দেখা মাত্র দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছে।

খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা সাহা জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে যে নির্দেশগুলো দেওয়া আছে সেগুলো জনগণ মানছে কী না আমরা সেটা দেখবো। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যারা ঘর থেকে বাইরে বের হবে বা আড্ডা দিবে সেখানে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করবো, এরপরও তারা না শুনলে মামলা দিবো। দু’টি টিম নগরীতে কাজ করছে। তাদের সাথে রয়েছে এপিবিএনের সদস্যরা। প্রয়োজনে অন্যবাহিনীর সদস্যরাও অভিযানের সাথে যোগ হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!