করোনা সংক্রমণে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা যশোর জেলা রয়েছে ঝুঁকির তালিকায়। এ জেলাকে ইয়োলোজোন (মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকা বলা হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে নেই কোনো সচেতনতা ও ভীতি। এমনকি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার কথা থাকলেও হাটবাজার, পরিবহন, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত সবখানেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত।
এদিকে, যশোরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সর্বশেষ ১৮ জানুয়ারি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার ও র্যাপিড এন্টিজেন একশ’ ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এক সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে দুশ’ ৬৮ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৩ জন। হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন আছেন তিনশ’ ২২ জন। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯৫ শতাংশ বেড়েছে করোনা রোগী। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার একশ’ ৬০ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচশ’ ১৭ জনের।
এরআগে ১৭ জানুয়ারির ফলাফলে জেলায় ১৬৪ জনের নমুনার বিপরীতে ৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম সেন্টার থেকে ১১৮ নমুনায় ২৪ জন ও র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ৪৬ নমুনায় ২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বিধি-নিষেধ জারি করেছে। আমরা সে অনুযায়ী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। তবে কেউ যদি মানতে না চায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা অচিরেই বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে।
জানা গেছে, করোনার শুরুর দিকে প্রথম দুই ধাপে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পুলিশি চেকপোস্ট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকলেও এবার করোনার নতুন ধরন ওমিক্রমণের ঝুঁকিতে আগের মতো তৎপরতা নেই। এ যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং প্রশাসনের নমনীয়তায় সরকারের বিধি-নিষেধ ও নির্দেশনা এখনও কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।
খুলনা গেজেট/ এস আই