বিগত দুই বছর নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে না পারলেও বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা কমানো হয়নি। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।
আজ রবিবার সৌদি আরব থেকে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম হজ কোটা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম কালের কণ্ঠকে জানান, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কত জন হজ করতে পারবেন, সেটা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
আগামী জানুয়ারিতে হজ চুক্তির সময় সেটা নির্ধারণ করা হবে।
২০২৩ ও ২৪ সালেও বাংলাদেশের জন্য হজের কোটা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। কিন্তু ২০২৩ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন এবং এবার ৮৫ হাজার ২২৫ জন যাত্রী হজ পালনে সৌদি আরব যান। পর পর দুই বছর হজ কোটা পূরণ করতে না পারায় সৌদি আরব হজ কোটা কমিয়ে দিতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যায়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার একাধিকবার বলেছেন, আগামী বছর ৭০ ভাগ হাজি সরকারি কোটায় নেওয়া হবে। তবে এ বছর সরকারিভাবে ৪ হাজার ৩২৩ এবং বেসরকারিভাবে ৭৮ হাজার ৮৯৫ মোট ৮৩ হাজার ২১৮ হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজ কোটা নির্ধারণ করা হয়। ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি দশ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে এক হাজার জন হজে যেতে পারবে।
বাংলাদেশের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী হজে যেতে আগ্রহীদের অনলাইনে প্রাক নিবন্ধন করতে হয়। নিবন্ধন সারা বছরই চলে। হজ পালনের কয়েকমাস আগে সরকারের তরফ থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়। সেক্ষেত্রে যারা আগে প্রাক নিবন্ধন করেন, তালিকায় ক্রমানুসারে তারাই চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারেন। চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দেয়।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ যদি নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তালিকা থেকে ক্রমানুসারে অন্যদের সুযোগ দেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম